নগদ টাকা স্বার্নালংকার ও মোবাইল ফোন সহ সাড়ে ১১লক্ষ টাকার মালামাল লুট

 শেরপুর(বগুড়া)প্রতিনিধিঃ

ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের শেরপুরের কৃষ্ণপুর নামাবালা এলাকায় গত মঙ্গলবার রাতে এনা এন্টারপ্রাইজ (এসি কোচ) নামে একটি যাত্রীবাহী নাইট কোচে যাত্রী সেজে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ডাকাতদল যাত্রীদেরকে জিম্মি করে নগদ টাকা, স্বর্নালংকার ও মোবাইল ফোন সহ প্রায় সাড়ে ১১ লক্ষ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় কোচের চালক বাদী হয়ে শেরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। শেরপুর থানায় এজাহার ও প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা যায়, কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারি থেকে এনা এন্টারপ্রাইজ (এসি কোচ যার নং ঢাকা মেট্রো-ব-১৫-৩৯১৮) ০২ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দ্যেশ্যে রওনা দেয়। পথিমেধ্য ওই কোচে উলিপুর হতে ৫জন যাত্রী ও কুড়িগ্রাম হতে আরো ২৭ জন যাত্রী উঠানো হয়। রাত ১টা ৪০ মিনিটের দিকে বগুড়া জেলার শাজাহানপুর থানা অতিক্রম করার পর হঠাৎ যাত্রীবেশে বেশে থাকা ০৭ জনের ডাকাতদল গাড়ীর ড্রাইভারকে মারধর করে গাড়ির নিয়ন্ত্রন নিয়ে নেয়। এ সময় ডাকাতদের হাতে ধারালো চাকু, অস্ত্র ও পিস্তল ছিল। যে সকল যাত্রী তাদের কথামতো দ্রুত মালামাল ও টাকা পয়সা দেয়নি তাদেরকে মারপিট করে টাকা পয়সা মোবাইল ফোন ও স্বর্নালংকার ছিনিয়ে নেয়। পরে ডাকাতদল রাত আনুমানিক ২ টার দিকে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের শেরপুর উপজেলার কৃষ্ণপুর এলাকায় নেমে হাইওয়ে রোডের পূর্বদিকে মাটির রাস্তা দিয়ে দৌড়িয়ে পালিয়ে যায়। কোচের একজন যাত্রী এ খবর শেরপুর থানায় দিলে ওসি হুমায়ুন কবীরের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ডাকাতদের ধরতে বিভিন্ন গ্রামে অভিযান পরিচালনা করেন কিন্ত কাউকে আটক বা মালামাল উদ্ধার করতে পারেননি। ডাকাতিকালে ডাকাতদল ওমর ফারুক নামের এক যাত্রীর নিকট থেকে ২টি মোবাইল ফোন ও নগদ ১ লক্ষ ২২ হাজার টাকা, নজরুল ইসলাম নামের এক যাত্রীর কালো ব্যাগে রক্ষিত ৫ লক্ষ টাকা ও ৩ ভরি ওজনের সোনার গহনা, আলামিন সরকারের নিকট থেকে ১টি মোবাইল ফোন ও নগদ ৫৫ হাজার টাকা, মোবাশ্বের হোসেনের ১টি ফোন ও নগদ ৪৭ হাজার টাকা, শহিদুজ্জামান রাসেলের ১টি মোবাইল ফোন ও নগদ ৬০ হাজার টাকা, রাকিবুজ্জামানের নিকট থেকে ২টি মোবাইল ফোন ও নগদ ৪৮ হাজার টাকা সহ ১৬ জন যাত্রীর নিকট থেকে ১১ লক্ষ ৪৪ হাজার টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় ডাকাতদের মারপিটে বেশ কয়েকজন যাত্রী আহত হয় বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় কোচের চালক এমরান হোসেন বাদি হয়ে শেরপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই কোচের যাত্রী সোহাগ জানান, আমরা ঘুমিয়ে ছিলাম, হঠাৎ চিৎকারে জেগে উঠে দেখি ডাকাতদল মারপিট করছে, আর যার নিকট যা কিছু পাচ্ছে তা ছিনিয়ে নিচ্ছে। তাদের হাতে বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র ও পিস্তল থাকায় আমরা কেউ কিছু বলতে পারিনি। কোচের ড্রাইভার এমরান আলী জানান, শাজাহানপুর থানা অতিক্রম করার পর ডাকাতরা আমাকে মারপিট করে গাড়িটি তাদের নিয়ন্ত্রনে নিয়ে নেয় এবং তাদের মধ্যে হতে ১ জন ডাকাত গাড়িটি চালিয়ে শেরপুর পর্যন্ত নিয়ে আসে। এ ব্যাপারে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ হুমায়ুন কবীর জানান, আমরা সংবাদ পাওয়ার সাথে সাথে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছি। সে সময় যাত্রীদের কথা শুনে দ্রুত আশে পাশের বিভিন্ন গ্রামে অভিযান চালিয়েও কাউকে আটক করতে পারিনি। থানায় মামলা নিয়েছি। আসামীদের ধরতে জোর চেষ্টা চালিয়ে যা্িধসঢ়;চ্ছ। আশাকরি খুব দ্রুত দোষীরা ধরা পরবে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment